শাহেদের বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে র‌্যাব

প্রথম সময় ডেস্কঃ

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে যে অর্থ আত্মসাত করতেন সেই টাকার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করা হতো বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার র‌্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ করিম তার প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আগামীকাল ঢাকা কারাগার থেকে শাহেদকে সাতক্ষীরা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অস্ত্র মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে সেটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে তার কার্যালয় থেকে যে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। সেটিতে চারটি দেশের ভিসা লাগানো ছিল। শাহেদ ওই চারটি দেশেই যাতায়াত করেছেন এবং সেখানেই অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি।

এর আগে, রোববার সকালে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার আদালতে হাজির করলে শাহেদকে ৪ মামলায় মোট ২৮ দিন রিমান্ড দেন আদালত। এছাড়াও অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার দেবহাটা আমলী আদালত ।

উল্লেখ্য, করোনা টেস্ট পরীক্ষা প্রতারণার অভিযোগে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপরে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র‌্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে রাব। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *