প্রথম সময় ডেস্কঃ
‘২৩ তারিখে আমাকে মেয়েটা কল দিয়ে বলেছিল, “আপু, আমার বেবি হবে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছে, রেজাল্টটা পেলে ভর্তি হতে পারব।” মাত্র ৪ দিন আগে (২২ জুলাই) আমাদের (প্ল্যাটফর্ম) মাধ্যমে স্যাম্পল দিয়েছিল। ২৩ তারিখ রাতেই রেজাল্ট পেয়ে মেয়েটাকে ম্যাসেজ দিলাম। আজ শুনি মেয়েটা নাই।’
ইশরাত মৌরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমনটাই লিখেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী শেফা ইসলামকে (তুলি) নিয়ে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী শেফা ইসলাম মারা গেছেন। রোববার সকালে রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গতকাল শনিবার তাঁর সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানটিও মারা যায়। সূত্রঃ প্রথম আলো।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিসের (এফডিএসআর) যুগ্ম মহাসচিব রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, শেফা ইসলাম হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই দিন আগে তাঁর একটি সন্তান হয়। শেফা করোনা আক্রান্তও ছিলেন। এ ছাড়া গর্ভকালীন জটিলতায় ভুগেছেন।
স্কয়ার হাসপাতাল জানায়, ২৩ জুলাই করোনা পজিটিভ নিয়েই শেফা ইসলাম ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁর বাচ্চা প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচারও হয়। সেটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাচ্চা শনিবার মারা যায়। তবে বাচ্চার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ছিল।
হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও পরিচালক মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, এটা খুব দুঃখজনক। পড়াশোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। অল্প কিছু দিনের মধ্যে চিকিৎসক হয়ে বের হতো। এর মধ্যেই সে মারা গেল।
শেফারা দুই ভাইবোন। ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। শেফার স্বামী একজন চিকিৎসক।