আবরার হত্যা: অভিযোগ গঠনের শুনানী শেষ, আদেশ ১৫ সেপ্টেম্বর

প্রথম সময় ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার মামলায় ২৫ আসামির অভিযোগ গঠনের শুনানী শেষ হয়েছে। এ কারনে ঢাকার-১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফল মো কামরুজ্জামান আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, এহেসানুল হক সমাজী ও আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। পরে কারাগারে থাকা ২২ আসামির মধ্যে ১৫ আসামির পক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

মামলার অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবীরা দায়িত্ব পালন করছেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গতবছর ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন।

ঘটনার তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত ৬ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে পেটানো হয়। রাত ২টা ৫০এর দিকে ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে পেটানো হয়েছে। আবরারকে হত্যায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন ১১ জন।

তারাই আবরারকে কয়েক দফায় মারপিট করেন। বাকি ১৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছে। ওই ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে। তারা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তারা হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোর্শেদে। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে। এরা হলেন- জিসান, তানিন ও রাফি।

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *