বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভারতে পালানোর সময় যুবক গ্রেফতার

প্রথম সময় ডেস্ক: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় খাইরুল আলম সবুজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর ডিবির এসআই আহসানের নেতৃত্বে একটি দল রোববার রাতে তাকে বান্দরবানের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে।

খাইরুল আলম সবুজ কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে। পেশায় সে গ্যাস ব্যবসায়ী। সে ধর্ষণ মামলার ২নং আসামি।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ডিবির হাতে গ্রেফতারকৃত ধর্ষণ মামলার আসামি খাইরুল আলম সবুজকে সোমবার কাপাসিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সাফাইশ্রী গ্রামের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাসেল মোল্লা ওই ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে রাসেল মোল্লা। এ দৃশ্য রাসেল মোল্লা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে রাসেলের দুই বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে প্রায়ই তারা ওই নারীকে ধর্ষণ করত।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ২২ জুলাই খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী জেনে যান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডেকে এনে তার স্বামী সংসার ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাদের হত্যার চেষ্টা করে। পরে ওই নারী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল মিলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ধর্ষণের ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে। মামলার প্রধান আসামি রাসেল মোল্লা ও অপর আসামি সোহেল এখনও অধরা রয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *