সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় প্রবাসী আহত

প্রথম সময় ডেস্ক: সিলেট নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন রিয়াদ আহমদ রিমন (২৪) নামের এক বাহরাইন প্রবাসী।

বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাদামবাগিচা বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত রিমনকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রিমন খাসদবীর এলাকার মঈনুল ইসলামের ছেলে। তিনি করোনায় লকডাউনের আগে আরব আমিরাতের দেশ বাহরাইন থেকে দেশে আসেন।

হামলাকারীরা সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব বলয়ের মাজহারুল ইসলাম সুমনের অনুসারী বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

তারা জানান, রাত ১০টার দিকে রিমন বাদামবাগিচা বাজারে কয়েকজন অস্ত্রসহ রিমনের ওপর আক্রমণ করে। পরে তারা আহত অবস্থায় তাকে ফেলে চলে যায়।

এদিকে সরেজমিনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রিমনের পিঠে দায়ের কোপের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

আহত রিমন জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুমনের এক মেয়ে কিছুদিন আগে বাসা থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় কাসদবীর এলাকার তামিম নামের একটা ছেলেকে সন্দেহ করেন তিনি। কারণ তামিমের সঙ্গে আগে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তামিমকে ধরে নিয়ে সুমনের ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনার আমরা প্রতিবাদ করলে ছেলেটিকে কাউন্সিলর আফতাবের অফিসে নিয়ে আসা হয়। এর সূত্র ধরেই মূলত আজ সুমনের অনুসারী রিপন, রুমন, শিপন, আরিফ, সুমন সুশান্তসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা করেছে।

এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রিমনের ছোট ভাই মিডিয়া কর্মী সিলেট ব্যুরোর অফিস সহকারী জায়েদুর রহমান সুমন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুমন বলেন, যারা হামলা করেছে তারা আমার অনুসারী তা ঠিক না। তবে যেহেতু আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ করি, তাই তারাও একই দলের এটা সত্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে কী কারণে হামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই।

মেয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তামিম নামের ছেলেকে ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন করার প্রতিবাদ করায় হামলা হয়েছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়াধীন। এর সঙ্গে আজকের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। আর টর্চার সেলে নির্যাতন এটা সত্য নয়। এমন কিছু আমি জানি না।

এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এটা হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *