পঞ্চমবারের মতো জেসিআই স্বীকৃতি পেলো এভারকেয়ার হসপিটাল

প্রথম সময় ডেস্ক: প্রথম সময় ডেস্ক: টানা পঞ্চমবারের মতো জেসিআই (জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল) এর স্বীকৃতি পেয়েছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা। দেশের প্রথম ও একমাত্র জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (JCI) স্বীকৃত হাসপাতাল এটি।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এভারকেয়ার হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত টানা ৫ম বারের মতো তারা এই স্বীকৃতি পেয়েছে। JCI -এর গোল্ড সিল অ্যাপ্রোভাল বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিত স্বীকৃতি, যা একটি সংস্থার মান ও রোগীর সুরক্ষা বজায় রাখতে তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালসমূহের মধ্যে তাদের মান ও খরচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং এর উন্নতি ঘটাতে JCI -এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংস্থাগুলোর এরূপ স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন স্বীকৃতির দিকে আগের চেয়ে অকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এভারকেয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসিমিলিয়ানো কলেল্লা এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সম্বন্বিত সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হিসেবে এভারকেয়ার সবসময় তাদের সব হাসপাতালের মাধ্যমে স্বীকৃত সব সুবিধার সাহায্যে সন্তোষজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে; যার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এমন গুণগতমানের দিকে, যা সবসময় আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে।

তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা স্বাস্থ্যসেবার রূপরেখাই পাল্টে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় মান রক্ষার ক্ষেত্রে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা -এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ চাসকার বলেন, বাংলাদেশে প্রথম সারির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- রোগীর সুরক্ষা ও যত্নের গুণমান। টানা ৫ম বারের মতো এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, আমরা আমাদের বিশ্বমানের সেবাগুলো দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। রোগীদের জন্য JCI স্বীকৃতির মানে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করছে, যা তাদের রোগী ও কর্মচারীদের জন্য ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সর্বপ্রথম JCI স্বীকৃতি পায় ২০০৮ সালে এবং আজ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল যা এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মান ধরে রেখেছে।

এভারকেয়ার গ্রুপের চিফ নার্সিং অফিসার ও হেড অফ কোয়ালিটি সুসান পস বলেন, আমাদের মিশনের মূল হচ্ছে কোয়ালিটি এবং এর প্রেক্ষিতে প্রতিটি মার্কেটে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আগানো হয়েছে;যেখানে আমরা নিশ্চিত করি ক্রমাগত মানোন্নয়ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *