বিশেষ প্রতিনিধিঃ খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, যাচাই বাছাই শেষ হবার পথে, নতুন করে কোনও ঝুট ঝামেলা না হলে চলতি সপ্তাহের (শনি- বৃহস্পতিবার) মধ্যেই কমিটি দেয়া হবে। খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির পাশাপাশি বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা শাখার পুরনাংগ কমিটিও একই সাথে ঘোষণা করা হবে।
৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ের ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা ধানমন্ডির বাসভবনে এই প্রতিবেদকের সাথে একান্তে আলাপকালে বলেন, করোনাকালে দেশের রাজনীতি আক্ষরিক অর্থেই লক ডাউনের কারণে বন্ধ ছিল, জন জীবন বিপর্যস্ত ছিল।আমরা সবাই কম বেশি ডেঞ্জার পয়েন্টে ছিলাম। আর সেই কারণেই কমিটি দিতে বিলম্ব হয়েছে।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমুহের হাজার হাজার নেতা কর্মীরা উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষমাণ।তাদের এই সেন্টিমেন্টকে আমরা বুঝি, ফিল করি।
মঙ্গলবার সকালে আলাপকালে খুলনা কমিটির বাইরেও দেশের বিদ্যমান রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন বিতর্ক, দেশে সরকার ও আওয়ামীলীগের অবস্থান, দেশ ব্যাপী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীদের করণীয় আচরণ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। দুর্নীতির কারণে প্রায় ২২ জ এমপিকে দুদক ডাকছে এমন তালিকায় বি এম মোজাম্মেল হোসেনও আছেন, এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দৃঢ়তার সাথে জিয়া ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের রাজপথের ফ্রন্ট লাইনের এই ফাইটার জানান, দুদক থেকে তিনি কোনও কল পাননি, তার নামে কোনও দুর্নীতির কোনও অভিযোগও নেই। এই সবই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
বি এম মোজাম্মেল হোসেন জানান, দল বড়, তার উপরে টানা তিন মেয়াদে সরকার। অনেক নেতা নেতৃত্বে পাবেন এমন অপেক্ষায় অপেক্ষমান। সবাইকে যেমন কমিটিতে আনা সম্ভব না তেমনি সবার মন জোগানো সম্ভব না।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে এখন নেতার অভাব নেই, অভাব প্রকৃত কর্মীর।সারা দেশেই রকই চিত্র বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনও আপোষ নেই। আওয়ামীলীগকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। যারা ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক তুলছে তারা পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা। ওরা বাংলাদেশকে ভালবাসে না, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে স্বীকার করেনা ইভেন মন থেকে দেশকেও ওন করে না।
মৌলবাদীদের অশিক্ষিত আখ্যা দিয়ে বি এম মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ওরা ধর্ম নিয়ে দেশে ব্যবসা করছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জামাত- শিবির, পাকিস্তানী আইএস, বিএনপি এরা সবাই এখন হেফাজতের ঘাড়ে ভর করেছে। সাধারন মানুষকে ব্লাক মেইলিং করছে। বি এম মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দেশবাসীর পাশে দাড়াতে হবে, সবাইকে সচেতন করতে হবে তাহলেই ৭১ এর মতোই আমরা এসব হায়েনাদের আবারও পরাজিত করতে পারব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, তিনি হাসলেই বাংলাদেশ হাসে। ভয়াবহ করোনাকে তিনি বিচক্ষণতার সাথে মোকাবলা করে দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হতেই মৌলবাদীরা নতুন করে মাঠে নেমেছে।