মসজিদে নামাজ আদায়ে বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ল

অনলাইন ডেস্কঃ

করোনার কারণে বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করে শুধু ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে অনুরোধ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিধি-নিষেধের সময়সীমা ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানোর পর আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৩০ জুন কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সময়সীমা ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন মসজিদসহ সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগের আরোপিত বিধি-নিষেধ এই সময় পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধি-নিষেধ এবং মসজিদগুলো জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তগুলো পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো :

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রব্বুল আ’লামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এ ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করে প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বও যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *