কবি আবু বকর সিদ্দিক গুরুত্বর অসুস্থ

অনলাইন ডেস্কঃ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কবি আবু বকর সিদ্দিক গুরুত্বর অসুস্থ। খুলনায় বোনের বাসায় থাকা অবস্থায় বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুত্বর অসুস্থ পড়লে ৫ দিন আগে তাকে ভর্তি করা হয় খুলনার নার্গিস মেমোরিয়াল ক্লিনিকে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। গুরুত্বর অসুস্থ এই কবি দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় তার বোনের বাসায় বসবাস করছিলেন।

বাগেরহাট শহরতলীর বৈটপুর গ্রামের সরকারি চাকুরীজীবী মতিয়ার রহমান পাটোয়ারীর সন্তান কবি আবু বকর সিদ্দিকের ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট তার মামা বাড়ী বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া গ্রামে। কবি আবু বকর সিদ্দিকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টি অধিক কাব্যগ্রন্থ, ৪টি উপন্যাস, ১৫টি গল্পগ্রন্থ ও একটি ছড়াগ্রন্থ।
দেশবরেণ্য এই কবি তার এসব সৃষ্টির জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, আবুল মনসুর আহম্মেদ সাহিত্য পুরস্কার, রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, মাইকেল মধুসুধন পুরস্কার, ঋষিজ পদক ও বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পদকসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও পদক। উপন্যাস। তার প্রকাশিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, জলরক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ (১৯৮৭), বারুদপোড়া প্রহর (১৯৬৬) ও একাত্তরের হৃদভস্ম (১৯৯৭)। ছোট গল্পগ্রন্থের উল্লেখ্যযোগ্যের মধ্যে রয়েছে, ভূমিহীন দেশ (১৯৮৫), চরবিনাশকাল (১৯৮৭), মরে বাঁচার স্বাধীনতা (১৯৮৭), কুযো থেকে বেরিয়ে (১৯৯৪) ও ছায়াপ্রধান অঘ্রান (২০০০) এবং কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিন্দ কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬), হেমন্তের সোনালতা (১৯৮৮), নিজস্ব এই মাতৃভাষায় (১৩৯৭), কালো কালো মেহনতী পাখি (২০০০), কংকালে অলংকার দিয়ো (২০০১), শ্যামল যাযাবর (২০০০), মানব হাড়ের হিম ও বিদ্যুৎ (২০০২), মনীষাকে ডেকে ডেকে (২০০২), আমার যত রক্তফোঁটা (২০০২), শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০২), কবিতা কোব্রামালা (২০০৫), বৃষ্টির কথা বলি বীজের কথা বলি (২০০৬), এইসব ভ্রুণশস্য (২০০৭), বাভী (২০০৮), নদীহারা মানুষের কথা (২০০৮) ও ছড়াগ্রন্থ হট্টমালা (২০০১)।
কবি আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৫৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৫৮ সাল বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করে তিনি পর্যায়ক্রমে খুলনার বিএল কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ, বাগেরহাটের ফকিরহাট কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, কুষ্টিয়া মহিলা কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও সর্বশেষ ঢাকার নটরডেম কলেজের শিক্ষকতার জীবনের ইতি টানেন তিনি। গুরুত্বর অসুস্থ এই কবি দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় বোনের বাসায় বসবাস করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *