আসামি ফেরত দেওয়ায় মুক্তি পেলেন চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্কঃ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। পরে চেয়ারম্যানের বাধায় পালিয়ে যাওয়া আসামিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার শর্তে তিনি ছাড়া পান।

আটককৃত আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম মোতালেব মাতুব্বর। সোমবার দুপুরে উপজেলার তারাইল ইটভাটা থেকে তাকে আটক করার পর বিকালে থানায় ওই আসামিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার পর মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দস্যুতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ইসমাইল শেখসহ আরও অজ্ঞাত ২-৩ জন আসামি ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভাঙ্গা থানার এসআই আবুল বাশারসহ সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আসামিদের গ্রেফতারে বাধা প্রদানসহ ইটভাটার শ্রমিকদের পুলিশের ওপর এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা আসামিদের ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় তখন ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেবের সঙ্গে পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করা ও হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বরকে আটক করা হয়। পরে পালিয়ে যাওয়া আসামি ইসমাইল শেখকে ফেরত দেওয়ার শর্তে চেয়ারম্যানকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ভাঙ্গা থানার এসআই আবুল বাশার জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তিনি পুলিশের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ইটভাটা শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছিল পরে শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার দেওড়া বাজার থেকে ইসমাইল শেখসহ ৩-৪ জন একটি অটোবাইক ছিনতাই করে। এ ঘটনায় দস্যুতার অভিযোগে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *