তিন তারার সাতে সাত

অনলাইন ডেস্কঃ

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। এরপর একে একে কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ছয়টি সংস্করণ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে আরব দেশে বসতে যাচ্ছে আরেকটি বিশ্বকাপের আসর। ২০০৭ থেকে ২০২১- সবকটি’তে একটি জায়গায় মিল। অনেক খেলোয়াড় অদল-বদল হলেও বাংলাদেশ স্কোয়াডে পরিবর্তন নেই তিনটি নামে- মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল নাম প্রত্যাহার করে না নিলে ‘সাতে সাত’ ক্যাটাগরিতে থাকতেন তিনিও। সাত বিশ্বকাপের সাতটিতেই খেলা- ক্রিকেট বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকজনের আছে এই কীর্তি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-মুশফিক। এবারের প্রতিযোগিতা দিয়ে সপ্তম বিশ্বকাপে নামতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরের শুরু থেকে প্রত্যেকটিতে খেলেছেন তারা।

মুশফিক: অম্লমধুর স্মৃতি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের পথচলা শুরু সাকিব-মাহমুদউল্লাহরও আগে। ২০০৫ সালের ২৬ মে, ঐতিহাসিক লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন তখনকার অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। মাত্র ১৭ বছর ৩৫১ দিন বয়সে লর্ডসে অভিষেক হয় এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। সেই যে শুরু, এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের বছর রঙিন পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় ঘটে যায় মুশফিকের। ওয়ানডে অভিষেকের চার মাসের মাথায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক। মাত্র একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যান মুশফিক। এরপর একে একে সব বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

তবে বিশ্বকাপের ময়দানে কখনোই খুব ভালো কিছু করতে পারেননি মুশফিক। ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপে ছিলেন ব্যর্থ। ৫ ম্যাচে রান ছিল মাত্র ১৪! ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে আসে ২ ম্যাচে ২৫ রান। ২০১০ সালের আসরেও খুব একটা বদল হয়নি পারফরম্যান্স। ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

২০১২ সালের বিশ্বকাপে মুশফিক হতাশ করেছেন আবার। এবার করেন ২৯ রান। দুই বছর পর ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে কিছুটা সফল হন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৮ রান। আর ২০১৬ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করছিলেন ৪৪ রান।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা মুশফিকেরই। ২৫ ম্যাচে ২৫৮ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক। এই ফরম্যাটে ৫ হাফসেঞ্চুরি থাকলেও বিশ্বকাপে এখনও এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান এখন আগের চেয়ে পরিণত। হয়তো অতীত ভুলিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্সই করবেন ওমান ও আরব আমিরাতে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *